মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অভিনেতা সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খানের বাড়িতে ১৬ জানুয়ারি ভোরে ডাকাতির চেষ্টা হয়। এ সময় ডাকাতদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে সাইফ আলী খান ছুরিকাঘাতের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাইফ আলী খান এবং পরিবারের সদস্যরা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করার চেষ্টা চালায়। ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় সাইফ ছুরিকাঘাত পান।
মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল সূত্রে ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ছুরিকাহত সাইফ আলি খানের অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই অস্ত্রোপচারে ইতিমধ্যেই চিকিৎসকেরা অভিনেতার শরীর থেকে ছুরির ফলা বের করে এনেছেন। কসমেটিক সার্জারি করা হয়েছে তার ক্ষত অংশে।
জানা গেছে, সাইফের শরীর থেকে প্রায় ২-৩ ইঞ্চির একটি ধারালো বস্তু বের করা হয়েছে।চিকিৎসকেরা মনে করছেন ওটা ছুরির ভাঙা অংশ। লীলাবতী হাসপাতালের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়, অভিনেতার শরীরে ছয়টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ক্ষত বেশ গভীর। সাইফ শিরদাঁড়ার কাছেও আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বান্দ্রা ডিভিশনের ডিসিপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘এটা সত্যি। রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। সাইফ আহত হয়ে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি। তিনি ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন নাকি অন্য কোনোভাবে আহত হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
সৎগুরু শরণ ভবনে থাকেন সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর। তাদের সঙ্গেই থাকেন ৭ বছরের তৈমুর ও ৩ বছরের জেহ। ছাদ, বারান্দা, সুইমিং পুল-নিয়ে এই অ্যাপার্টমেন্ট। সঙ্গে ডাইনিংও বেশ বড়। কড়া নিরাপত্তা থাকার পরেও, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা অবাক করেছে সকলকে। ইতিমধ্যেই বান্দ্রা থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তাতার করার চেষ্টা চলছে।
এ প্রসঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সাইফ আলি খান লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এটা স্পষ্ট নয় যে, তাকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, নাকি ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে তিনি আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।’