অনলাইন সংস্করণ
১৫:২৪, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী আবারও কাজে ফিরেছেন এবং তার অভিনীত নতুন সিরিজ 'ফেউ' মুক্তির জন্য প্রস্তুত। আগামী ২৯ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে এই সিরিজটি, যা ইতোমধ্যে টিজার প্রকাশের পর দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সিরিজের একটি সংলাপে চঞ্চলকে বলতে শোনা যায়, “ও সুনীল দা, ফেউ কারা?” এবং এর উত্তরে আসে, “এজেন্ট। সরকারি গোয়েন্দা–গে এজেন্ট কয়।”
‘ফেউ’ সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় করেছেন সুনীল চরিত্রে, যিনি একজন আলোকচিত্রী। সিরিজটির প্রেক্ষাপট ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত এবং সুনীল তার ক্যামেরায় নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধারণ করেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই সিরিজে কাজ করা এবং শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন চঞ্চল।
তিনি জানান, সিরিজের শ্যুটিং হয়েছে সুন্দরবনে, যেখানে শীত এবং ভয়ঙ্কর কুমিরের উপস্থিতি নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
চঞ্চল বলেন, “প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে আমরা শ্যুটিং করেছি। মাস খানেক সুন্দরবনে শ্যুটিং হয়েছে, যার মধ্যে আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠাণ্ডা লাগত। আমি শীতের জামা-কাপড় পরেই ঘুমাতাম। তবে ঠান্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির। আমাদের লঞ্চ যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখানে ছিল কুমিরটা। সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেই কুমির এবং আরও বিভিন্ন পশু-পাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শ্যুটিং স্পটে যেতাম ছোট ছোট ট্রলারে। রাতেও শ্যুটিং করতে হতো, খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল।'
এ ছাড়া সিরিজটিতে চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস এবং এ কে আজাদ সেতু। সিরিজটি ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার মরিচঝাঁপি দ্বীপে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হলেও এটি একটি ফিকশনাল গল্প।
গল্পটির লেখক সুকর্ন সাহেদ ধীমান এবং রোমেল রহমান, আর চিত্রনাট্য করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান এবং সিদ্দিক আহমেদ। এই সিরিজে ইতিহাসের পাশাপাশি চঞ্চল চৌধুরী নিজের দেখা চরিত্র, জানা ঘটনা ও নিজের অঞ্চলের গল্প তুলে ধরেছেন।
