ঢাকা ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বামীর মৃত্যুর পর, পরবর্তী বিয়ে নিয়ে যা বললেন তনি

স্বামীর মৃত্যুর পর, পরবর্তী বিয়ে নিয়ে যা বললেন তনি

নারী উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনি, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে নানা সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কিছু মানুষ দাবি করছেন, তনি তার স্বামীকে নিয়ে শোক প্রকাশের ক্ষেত্রে অভিনয় করছেন, আবার কেউ পরবর্তী বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে কথা বলছেন। এবার এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন তনি।

গতকাল শনিবার, নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে তনি স্বামী সাদাদ রহমানের হাসপাতালের ছবি শেয়ার করেন এবং কিছু সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, ‘মিশন সাকসেসফুল- এই ছবিটা পোস্ট করে যারা এইসব লিখেছেন। আমি জানতে চাই মিশন সাকসেসফুল কি! একটা প্রমাণ দেখাতে পারলে ফেসবুকে আর চেহারা দেখাব না।’

এরপর লেখেন, ‘যারা আমার নেক্সট বিয়ে নিয়ে চিন্তা করে মরে যাচ্ছেন তাদের বলতে চাই, আমাকে নিয়ে যত ভাবেন যদি নিজেকে নিয়ে যদি এর ৫০% ও ভাবতেন তাহলে আমাকে নিয়ে ভাবার সময় পেতেন না। আমি অনেক ভাগ্যবতী এমন একজন মানুষকে আমার হাজব্যান্ড হিসেবে পেয়েছি যার ভালোবাসা আমাকে সারাজীবন বাঁচিয়ে রাখবে ইনশাল্লাহ। আমার জীবন চলার জন্য আল্লাহর রহমত আর সাহায্য ছাড়া অন্য কারও প্রয়োজন নেই, আমি যথেষ্ট সাবলম্বী, আলহামদুলিল্লাহ।

এ ইনফ্লুয়েন্সার লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি আমার হাজব্যান্ড পরপারে আমার জন্য অপেক্ষা করবে। তাই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সাদাদ রহমানের ওয়াইফ এই পরিচয়টা প্রাউডলি বহন করতে চাই। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী। নিজের ওপর অগাধ বিশ্বাস আর অনেক নিয়ন্ত্রণ আছে আমার, তাই আমাকে নিয়ে বেকার চিন্তা করা থামান।’

এই উদ্যোক্তার কথায়, ‘আমার হাজব্যান্ড ১০১ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল। প্রথমদিকে আমি বেশিরভাগ সময় ব্যাংককে থাকতাম, কিন্তু হাসপাতালে প্রতিদিন ১০-১২ লক্ষ টাকা বিল দিতে গিয়ে আমার অর্থনৈতিক অবস্থান কী হতে পারে এটা যেকোনো শিক্ষিত মানুষকে মনে হয় না বোঝাতে হবে। এর পর হসপিটালে আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা থাকার জন্য স্পেশাল আইসিইউ নার্স আলাদা করে অ্যাপয়েন্ট করে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ-ব্যাংকক আসা যাওয়া শুরু করি, কারণ আমাকে সবকিছু ঠিক রাখতে হবে। এ ছাড়া এত বড় অংকের বিল মেটানো সম্ভব নয়। এর মধ্যে ফেসবুকে মানুষের নানা রকম উপদেশ, ভুয়া নিউজ, ট্রল এইসব কিছু তো আছেই—অনেকে আমাকে ডিরেক্টলি পর্যন্ত বলছে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন! কত বড় অসভ্য হলে এই সব তারা করতে/ বলতে পারছে!’

১৫ জানুয়ারি, তনি তার ফেসবুকে লিখেন, "সারাজীবনের জন্য একা করে চলে গেছে।" এই দিনটি তার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর, কারণ তার স্বামী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

স্বামী,মৃত্যু,বিয়ে,সমালোচনা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত