চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে বহিষ্কার হলেন নিপুণ আক্তার
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। গত রোববার শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অভিযোগ ছিল, নিপুণ অনৈতিকভাবে সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি দেন। সেখানে নিজেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি ওই বিবৃতিটি ফেসবুকে পোস্টও করেন, যা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে।
এছাড়া, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার কারণে নিপুণকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা তোয়াক্কা করেননি। এর আগে, এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার কাছে তার সম্পর্ক থাকার কারণে নিপুণ তার কার্যক্রম চালিয়ে যান। অবশেষে, অনৈতিক কাজ এবং বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে শিল্পী সমিতি থেকে তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন শিল্পী সমাজের অনেকে, যারা আগে থেকেই নিপুণের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে আসছিলেন। এক শিল্পী জানিয়েছেন, "নিপুণ এফডিসির জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছিলেন। তার জন্য পুরো শিল্পী সমাজের সম্মান নষ্ট হচ্ছিল।"
নানা ইস্যুতে মাঝে মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েন এই চিত্রনায়িকা। কখনও শিল্পী সমিতির নির্বাচন কিংবা পদ নিয়ে, কখনও বা ভিন্ন ইস্যুতে। সম্প্রতি মিথ্যাচার করে আরও একবার বিতর্কিত হয়েছেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। নিপুণের নামে মামলা না থাকায় পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আটকের খবর সত্য নয় দাবি করেন অভিনেত্রী। তবে বিমানবন্দরের বেশকিছু ফুটেজে তাকে দেখা যায়।
এমন সব বিতর্কের কারণে নিপুণের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে সময়োপযোগী ও সঠিক বলে মনে করা হচ্ছে।