ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মায়ের দায়িত্ব নিলো ১০ বছরের শিশু রুবিনা, শুধু পারিনা আমরা!

মা পাগল এমন রুবিনা আক্তার যেন প্রতি ঘরে জন্মায়!

জন্মের পর দেখতে পায়নি বাবাকে। মমতাময়ী মা শিকলবন্দী আর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন নানী। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্বভার নিতে হয়েছে মাত্র ১০ বছরের কন্যাশিশু রুবিনা আক্তারকে। শিশুটির সামান্য রোজগার আর অন্যের জমিতে আশ্রিতা হয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করছে পরিবারটি। এ অবস্থায় পরিবারটিকে সহায়তা প্রদানে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দুর্গম হোসেনপুর গ্রামের এই ঝুপড়িঘরটিতে বসবাস করছে অসহায় শিশুকন্যা রুবিনা ও তার পরিবার। এই ঘরের কারো মুখে নেই একটু হাসি।

১১ বছর আগে বাবা শাহজাহান হাওলাদার সাগরে ইলিশ শিকারে গিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে রুবিনার মা। এ অবস্থায় মাকে গাছের সঙ্গে শিকলবন্দী করে রেখে সাংসারিক কাজ ও সেবা করেন রুবিনা। অসুস্থ মা আর নানীকে নিয়ে দিনভর ভিক্ষা করে চলে পরিবারের আহার, চিকিৎসা ও তার লেখাপড়া।

রুবিনা বলেন, ভিক্ষা করতে গেলে স্কুলে যেতে পারি না। অনেক সময় নানী রান্না করতে পারে না। তখন আমাকে রান্না করতে হয়। আমি জন্মের পর বাবাকে দেখি নাই।

রুবিনার শিক্ষকরা বলেন, তারা পরের জায়গায় থাকে। রুবিনা আমার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সরকারের কাছে ওর জন্য সহযোগিতা চাই।

চিকিৎসক জানান, উন্নত চিকিৎসা করালে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন রুবিনার মা। অন্যদিকে সরকারি জমি, একটি বসতঘর ও রুবিনার শিক্ষা সহায়তা প্রদানে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহিদুল হক।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, ভালো মানসিক চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করালে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহিদুল হক বলেন, তাদের একটি বাড়ি করে দিব এবং অভাবে যাতে রুবিনার পড়ালেখা নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থাও করা হবে।

সমাজের বিত্তবান ও রাষ্ট্রের কর্ণধারদের সহযোগিতা অসহায় এই পরিবারটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে প্রত্যাশা গ্রামবাসীর। সূত্র-আরটিভি

মা শিকলবন্দী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত