ঢাকা ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভূরুঙ্গামারীতে একই জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে

ভূরুঙ্গামারীতে একই জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় একই জমিতে একই সাথে দুই বা ততোধিক সবজি চাষ করা হচ্ছে। অথচ কয়েক বছর আগেও এ এলাকার জমিগুলোতে একটি বা দুটি ফসল চাষ করে কৃষকদের বসে থাকত হতো। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গ্রামীন কৃষকদের মাঝে পরিবর্তন এসেছে।। সারা বছরই কোন না কোন ফসলের চাষ হচ্ছে। একই জমিতে একাধিক সবজি উৎপাদিত হওয়ায় কৃষকের মুখে প্রশান্তির হাসি ফুটেছে।

একই জমিতে একই সাথে দুই বা ততোধিক ফসলের চাষ করা একাধিক সবজি ক্ষেত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কোন জমিতে নিচে মুলা, গাজর, সবজি চাষ এবং উপরে অন্য ধরণের মাচা তৈরি করে দেয়া হয়েছে দেশী লাউয়ের, জালি কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি। একইভাবে আবার কোন কোন জমিতে নালা কেটে লাগানো হয়েছে শীতকালীন ধনিয়া পাতা, মরিচ, উপরে মাচা দিয়ে চাষ করা হচ্ছে করলা।

একই জমিতে একাধিক ধরণের ফসল আবার অনেকেই সাথী ফসলের চাষও করছেন। সে রকম জমি গুলোতে দুইটির নালার মাঝখানের জায়গায় চাষ করা হয়েছে নানা ধরণের শাক, ম‚লা, গাজর, বেগুন। আবার একইভাবে একই জমিতে বেগুন গাছের মাঝখানের সারিতে রোপন করা হয়েছে ম‚লা, বরবটি ও শিম।

কথা হয় ভ‚রুঙ্গামারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক আবু বক্কর সিদ্দিক এর সাথে। তিনি জানান, কলেজের ১ একর ৪৪ শতক জমি লীজ নিয়েছেন। সেখানে তিনি লাল শাক, লাউ, কুমড়া, মূলা, গাজর, টমেটো, বেগুন সহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন। এরিয়া ভাগ করে এক সাথে চাষ করেছেন বাঁধা কপি, পেঁয়াজ ও কচু লাগিয়েছেন। অপর দিকে এক সাথে ফুলকপি ও আলু লাগিয়েছেন। এখন তিনি প্রতি কেজি পেঁয়াজের ফুল বিক্রি করছেন ৭০ টাকায়। পেঁয়াজ ও কপি ওঠে গেলে আলু থাকবে। আলু ওঠলে জমিতে থাকবে মুখি কচু। যাতে তার লাভের অংশই বেশি।

উপজেলার সদর ইউনিয়নে নলেয়া গ্রামের আরেক কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছর আগে থেকে এক সাথে ফুলকপি, মরিচ, বাঁধা কপি ও পেঁয়াজ চাষ করছি। প্রথমে মনে হচ্ছিলো তিনটা ফসল একসাথে হবে না, এখন দেখছি সবগুলোই ভাল হয়েছে। এর মধ্যে ফুল কপি ও বাঁধা কপি বিক্রি করে দিয়েছি। মরিচ নামতে শুরু করেছে। প্রতি মণ কাচা মরিচ ৩২০০ টাকায় বিক্রি করা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, একই জমিতে দু’তিন রকমের ফসল বিভিন্ন লাইনে বুনে মিশ্র ফসলের চাষ করা হয়। এক্ষেত্রে পুরো জমির ফসল একবারে উঠবেনা। এর ফলে জমির সর্বোত্তম ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হয় ।

সেই ভাবে বিভিন্ন রকম ফসল একসঙ্গে চাষ করলে ফসলে রোগ ও পোকার উপদ্রব কম হয় এবং মোট উৎপাদন বেশী হয়। এতে কৃষক লাভবান হবেন।

ভূরুঙ্গামারী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত