ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনি বিকল হয় যেভাবে 

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ১৪:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

ইউরিক অ্যাসিড এর মাত্রা বেড়ে গেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বাড়ে বিপাকজনিত কারণে। এই অ্যাসিড তৈরি হওয়ার পেছনে আছে পিউরিন।

কিছু খাবারে পিউরিন বেশি মাত্রায় থাকে। এই পিউরিন দেহে প্রবেশ করে প্রোটিনের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত প্রোটিন বিপাকের ফলে শরীরে তৈরি হয় এই অ্যাসিড।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বেরিয়ে যায় কিডনির মাধ্যমে। তবে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের হতে না পারায় তা জমে যায় কিডনিতে।

এক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড কিডনি স্টোন হিসেবে জমে। ইউরিক অ্যাসিডের সাধারণ মাত্রা নারীদের শরীরে ৬.৫ এর নীচে ও পুরুষের শরীরে ৭ এর নীচে। এর বেশি হলেই বিপদ।

রক্তে উচ্চমাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড জমার এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’। গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ এই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া।

মূলত হাড় ও কিডনির উপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে। এমনকি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না রাখলে বিকল হতে পারে কিডনিও। তবে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোনো ধারণা নেই। এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, কী করে বুঝবেন? চলুন জেনে নেই-

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া

ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। কারণ কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বের করে দিতে। আবার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে হতে পারে রক্তপাতও। এছাড়া হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও দুর্গন্ধ

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকেরই জ্বালা করে। এই জ্বালা অনেক সময় এতটাই বেশি হয় যে মানুষটি প্রস্রাব করতেও ভয় পান। এই সমস্যা থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়া প্রস্রাবে বিকট গন্ধও এই রোগের উপসর্গ হতে পারে।

শরীরের নিচের অংশে ব্যথা

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে পিঠের নীচের দিকে, তলপেটে কিংবা কুঁচকিতে ব্যথা হতে পারে। তাই এমন উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হন।

অন্যান্য আরও লক্ষণ

ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ক্লান্তি ভাব, বমি বমি ভাব, বারবার ঢেকুর তোলা, পেশিতে ঘন ঘন ক্র্যাম্প ধরাও শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির উপসর্গ হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা পরিমাপ করাতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।