ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টনসিল কী? লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

টনসিল কী? লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

টনসিল একটি জটিল সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। টনসিলাইটিস সাধারণত ৩ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রে যে একেবারেই হয় না, তা কিন্তু নয়।

টনসিল এক ধরনের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফয়েড টিস্যু। এতে কোনো ধরনের ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে আমরা এটাকে টনসিলাইটিস বলি। মানবদেহে গলার ভেতরে দুপাশে একজোড়া প্যালাটিন টনসিল থাকে, টনসিলের প্রদাহ বলতে আমরা এর ইনফেকশনকেই বুঝে থাকি।

টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া উভয়ই দায়ী। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে প্রধানত বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস দিয়ে হয়। এ ইনফেকশনের অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বারবার ঠান্ডা সর্দি লাগা, পুষ্টিহীনতা, পরিবেশ দূষণ, দেহে অপর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা; অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয়ে আসক্তি ও আবহাওয়ার পরিবর্তন।

লক্ষণ-

* টনসিলে গলাব্যথা এবং সঙ্গে খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে এবং শরীরে ক্লান্তি ভাব থাকে।

* এ ক্ষেত্রে গলাব্যথার সঙ্গে জ্বর ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। সঙ্গে খাবার গ্রহণে অরুচি এবং বমির ভাব থাকতে পারে।

* গলার সঙ্গে কানের সম্পর্ক রয়েছে। তাই টনসিলের ইনফেকশনে কানে ব্যথা থাকবে এবং গায়ে ব্যথা হতে পারে।

* শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখা যায়।

* অনেক সময় মারাত্মক ইনফেকশনে মুখ খুলতে অসুবিধা হতে পারে।

টনসিল আক্রান্ত রোগির চিকিৎসা-

* তরল ও গরম খাবার খাওয়া উচিত।

*দাত ও মুখ প্রতিবার খাবার খাওয়ার পড়ে পরিস্কার করতে হবে।

* এন্টিব্যায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।যেমন:- এমস্কাসিলিন,সেফিউরস্কিম।

* কান ঢেকে গরম রাখা উচিত।

* জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতিয় ঔষুধ খেতে হবে।

* ভিটামিন সি বেশি খেতে হবে।

* বেশি করে লবন পানি দিয়ে গড়গড়া করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

* ব্যথা বেশি হলে ডাইক্লোফেনাক জাতিয় ঔষুধ খাওয়া যায়।

* সর্দি-কাশির জন্য হিষ্টাসিন জাতিয় ঔষুধ খাওয়া যায়।

* যদি চিকিৎসায় কাজ না হয় অপারেশন করে ফেলাই ভালো। কারণ অনেক সময় বেশি দিন টনসিলে ভুগলে টনসিল ক্যানসার

হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

টনসিল,লক্ষণ,চিকিৎসা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত