আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। ‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি: প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, বিনিয়োগ করুন, বিতরণ করুন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হবে এবারের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে দেশে ৫.২ শতাংশ শিশুর যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে দেশে শিশু যক্ষ্মা রোগী আছে ১০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে ২০২৪ সালে দেশে ৩১৩৬২৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসার আওতায় আছে ৮৩ শতাংশ রোগী। বাকি প্রায় ১৭ শতাংশ রোগী এখনও রয়েছে শনাক্তের বাইরে।
শনাক্তের বাইরে থাকা এই রোগীরা যক্ষ্মার জীবাণু ছড়াচ্ছে এবং আরও রোগী বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শনাক্তের বাইরে থাকা রোগীদের শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত দুই দশকে যক্ষ্মা প্রতিরোধ, পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থার মতো যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা তহবিল দিয়ে সহায়তা করেছে। তবে হঠাৎ করেই এই তহবিল কাটছাঁট করায় যক্ষ্মা প্রতিরোধ কর্মসূচিতে এর প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে গবেষণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে। এ অবস্থায় সরকারকে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে জোর দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
আবা/এসআর/২৫