“নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার উপায়”

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ১৬:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

ডিজিটাল দুনিয়ায় অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকে। ঠিকঠাক ব্যবহার করতে না জানলে ঝুঁকির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। অনেকে না বুঝেই নিজস্ব তথ্য ফাঁস করে ফেলেন। তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অরক্ষিত থেকে যায়। 

তখন তারা সবসময় একটা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এ ধরনের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে এর থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ও জেনে রাখা জরুরি।

 জেনে নেওয়া যাক ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার উপায়সমূহ


১ অনেকেই ফিশিংয়ের পাল্লায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ক্ষেত্রে ফিশিং থেকে রক্ষা পেতে চাইলে ইমেইল কিংবা মেসেজে পাওয়া কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। কোনো ধরনের প্রলোভনেও পড়বেন না। প্রলোভনে পরে পরবর্তীতে আপনিই বিপদে পড়বেন।

২ ইন্টারনেট ব্যবহার করে কেনাকাটা করার অভ্যাস আছে মোটামুটি আমাদের সকলের। এ ক্ষেত্রে শুধু নিরাপদ এবং স্বীকৃত মাধ্যম থেকে কেনাকাটা করতে হবে এবং কেনাকাটার জন্য নিজস্ব সব তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

৩ আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড শক্তিশালী ও আনকমন যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখা সহজ হবে। টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সিস্টেম চালু করে রাখুন। এতে অন্য কেউ চাইলেও আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।

৪ ব্যক্তিগত একাউন্টের ক্ষেত্রে ‘প্রাইভেসি সেটিংস বা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়াসমূহ’ চালু করে রাখবেন।

৫ রিকভারি ইমেইল বা মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করে রাখুন। এ ক্ষেত্রে বিকল্প ইমেইল এবং নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করবেন।

৬ ম্যালওয়ার/র‍্যনসমওয়ার-জাতীয় ক্ষতি থেকে বাঁচতে নিয়মিত তথ্য সংরক্ষণ (ডাটা ব্যাকআপ) করতে হবে। পাশাপাশি ডিভাইসের সুরক্ষায় আপডেটেড এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

৭ যেকোনো তথ্য, ফাইল কিংবা নতুন আপডেট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। উৎসের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে তবেই ডাউনলোড করবেন।

৮ নেট ব্যবহারে কী ধরনের বা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, সে বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে। সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে জানা না-থাকার কারণে অনেকে বিপদে পড়ে থাকেন। যদি কোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখতে পান, তবে সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিতে হবে।

৯ অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে সতর্ক হোন। অজ্ঞতার কারণে অনেকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত করে ফেলেন, যা তার জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক বেশি সচেতন হোন।

১০ অনেকেই নতুন বন্ধু তৈরি করতে গিয়ে বিপদে পড়েন। বন্ধুর রূপ ধরেই আসে যারা আপনার ক্ষতি করতে চায়। তাই অনলাইনে অপরিচিত কারও সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। ভালোভাবে না জেনে কাউকে বন্ধু করতে যাবেন না এবং নিজস্ব তথ্য শেয়ার করবেন না খুব প্রয়োজন ব্যাতীত।

১১ আপডেট করা হয়েছে এমন এন্টি-ভাইরাস ব্যবহার করার মাধ্যমে ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

১২ জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ছবি প্রয়োজন ছাড়া কোথাও আপলোড করবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিগত সব তথ্য উল্লেখ থাকে। কোথাও এ ধরনের ডকুমেন্ট রাখার ক্ষেত্রেও সচেতন থাকবেন।