অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সকল নাগরিক সাইবার ঝুঁকিতে রয়েছে এমন মন্তব্য করে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনা বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। কারণ অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সকল নাগরিক সাইবার ঝুঁকিতে রয়েছে। কেউ যদি সাইবার হামলার শিকার হন তাহলে তিনি কার কাছে কিংবা সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ করবেন সেই সম্পর্কে জানতে হবে তাদের। এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো কাজ করতে পারবেন সাংবাদিকরা।
বুধবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো) আয়োজিত “সাইবার নিরাপত্তায় গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক কর্মশালা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত সচিব নূরুন নাহার হেনা-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরিফ মঈনুদ্দীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট ডিকোডস ল্যাব লিমিটেড।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক সূফী জাকির হোসেন বলেন, দেশের সংবাদকর্মীদের মধ্যে যারা তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন তাদের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট সম্পর্কে জানতে হবে ও অধিকতর কাজ করতে হবে।
প্রধান আলোচক আরিফ মঈনুদ্দীন তাঁর আলোচনায় সাইবার নিরাপত্তার বিভিন্ন ঝুঁকিসমূহ, ম্যালওয়ার কিভাবে ছড়ায়, এ থেকে বাঁচার উপায়, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, হ্যাকিং-এর প্রক্রিয়া এবং করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে কর্মশালায় আলোচনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ। কর্মশালার পরিচালক হিসেবে ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক আব্দুল মান্নান এবং সমন্বয়ক হিসেবে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাজী ওমর খৈয়াম দায়িত্ব পালন করেন। সেমিনারে বিএসআরএফ’র সদস্যসহ ৬৫ জন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।