ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট কি ফের ঢেউয়ের জন্ম দেবে?

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট কি ফের ঢেউয়ের জন্ম দেবে?
করোনাভাইরাস। ফাইল ছবি

অনেকদিন ধরেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ কম থাকায় আমাদের মনে ধারণা জন্মেছিল, মহামারির প্রাদুর্ভাব বোধহয় শেষ হতে চলেছে। তবে এরই মধ্যে চীনে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ভারতের বিমানবন্দরে বেশ কিছু ব্যক্তির শরীরেও নতুন এই প্রজাতির ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।

নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় তৎপর হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশজুড়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে কোভিড ড্রিল। নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, তা বুঝতেই এই ড্রিল বলে জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে ভারতে একই ভ্যারিয়েন্টে চারজন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন করে দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ভারত সরকার নতুন করে সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করবে। সেই সঙ্গে জনগণকেও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। এখন সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে- করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট কি নতুন করে ঢেউয়ের জন্ম দেবে কি-না।

গুরুগ্রামের মেদান্তের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. সুশীলা কাটারিয়া জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টটি বর্তমানে চীন, ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক হিসেবে ঘোষণা করেছে। ভারতে এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা সামনে বাড়তে পারে।

তিনি আরও জানান, গত আগস্টে প্রথমবারের মতো এই ভ্যারিয়েন্টের সূত্রপাত হয়। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারবে। যারা ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন বা কিংবা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা আবার নতুন সংক্রমিত হতে পারেন। কোভিডের প্রকোপ আগের মতো না হলেও নতুন ঢেউ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই।

ভারতের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি কী?

ডা. কাটারিয়া জানান, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সামনে বাড়লেও পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে না। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণযোগ্য হলেও গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না।

ফরিদাবাদের ফোর্টিস হসপিটালসের পালমোনোলজি বিভাগের পরিচালক এবং প্রধান রবি শেখর ঝা জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ভারতে খুব বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবে না। তবে দেশটিতে নতুন করে কোভিডের ঢেউ আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

সর্দি-কাশি মনে হলেও যেগুলো প্রকৃতপক্ষে কোভিডের লক্ষণ রবি শেখর ঝা জানান, যদি জ্বর এবং কাশির মতো উপসর্গগুলো ৫ দিনের বেশি চলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই কোভিডের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। সাধারণত যেসব লক্ষণ দেখা যায়-

- গলা ব্যথা

- জ্বর

- সর্দি

- কাশি

- ক্লান্তি

- শরীরের ব্যাথা

- মাথা ব্যাথা

- নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

করোনাভাইরাস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত