দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ইরানে হামলা!
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন সংস্করণ
ইসরাইল দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাতে পারে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষ করা ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিকে গতকাল শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব নিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন কট্টর ডানপন্থি সরকার।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরেনিয়াম প্রকল্প সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইরান। ২০১৮ সালের মে মাসে তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। একই সঙ্গে তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি। এতে ইরানের অর্থনীতি ও তেল রফতানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এক পর্যায়ে ইরানও চুক্তি থেকে সরে এসে ইউরেনিয়াম প্রকল্প বিস্তৃত করে। বাইডেন প্রশাসনসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তিতে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে। তবে তেহরান তখন বেসামরিক পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আরও জোরদার করছে। এই ইউরেনিয়াম দিয়ে দেশটি পরে পারমাণবিক বোমা বানিয়ে ফেলতে পারে বলে ইসরাইল ও এর মিত্রদের আশঙ্কা থাকলেও ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে, তাদের ইউরেনিয়াম বোমা বানাতে নয়, শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হবে।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায়ও, তাও তাদের অন্তত কয়েক বছর লাগবে। চলতি মাসে ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের এক জেনারেলও এমনটাই ধারণা দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে গান্টজ বলেন, ‘দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে, তোমরা হয়তো পূর্বদিক বরাবর উড়ে যাবে এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলার অংশ হবে।’
রয়টার্স লিখেছে, দশককালেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইল পশ্চিমা কূটনীতি সফল না হলে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে এলেও ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সুরক্ষিত ওই কেন্দ্রগুলোর ক্ষতি করার মতো সামরিক সক্ষমতা তেল আবিবের আছে কি না, তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই সন্দিহান।
এদিকে ইসরাইলের শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে দায়িত্বে এসেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন কট্টর ডানপন্থি সরকার। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকাপোক্তভাবে ক্ষমতায় ফিরলেন নেতানিয়াহু।
পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণকে এই সরকার অগ্রাধিকারের তালিকায় শীর্ষে রেখেছে। তা ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে এমন সব নীতিও বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে এ সরকার।