ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বছর শেষ করলেন কিম জং উন
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন সংস্করণ
কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব দিকে সাগরে উত্তর কোরিয়া তিনটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে সিউল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় সাড়ে তিনশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। জাপান কোস্টগার্ড এর আগে জানিয়েছিল, একটি ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের দক্ষিণে অবস্থিত নর্থ হোয়াংহে প্রদেশ থেকে উত্তর কোরিয়া স্বল্প পাল্লার তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোন দক্ষিণের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ার পাঁচদিন পর এ ক্ষেপণাস্ত্র তিনটি ছোড়া হল বলে জানিয়েছে বিবিসি। ২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম পিয়ংইয়ংয়ের কোনো ড্রোন দক্ষিণের আকাশসীমা অতিক্রম করেছে।
পিয়ংইয়ং এ বছর আগের যেকোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছে।
সর্বশেষ যে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি, বলেছে ওয়াশিংটন।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছে, উত্তর কোরিয়ার এ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ মারাত্মক উসকানি, যা কোরীয় উপদ্বীপের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকেও ক্ষুণ্ন করে।
কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার ওড়ানো ৫টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। ওই ড্রোনগুলোর একটি রাজধানী সিউলের কাছাকাছি এসে পড়েছিল।
ড্রোনগুলো ভূপাতিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনী সতর্কতামূলক গুলি এবং যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারও পাঠিয়েছিল।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর এশীয় মিত্ররা উত্তর কোরিয়া সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত দেশটির তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
ইয়ুন সুক-ইয়ল এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপারে তার “কঠোর নীতি” দুই কোরিয়ার সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
দিন দিন আরও “আগ্রাসী হয়ে ওঠা” উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনই তাদের অস্ত্র কর্মসূচির সাম্প্রতিক অগ্রগতি দেখভাল করছেন। উত্তর কোরিয়াকে “অপরিবর্তনীয়” পারমাণবিক রাষ্ট্র ঘোষণা করে সম্প্রতি কিম বলেছেন, তিনি তার দেশের হাতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বাহিনী দেখতে চান।