ইয়াঙ্গুনের পশ্চিমে মিয়ানমারের একটি কারাগারে দাঙ্গায় এক বন্দি নিহত ও ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) জান্তা সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির বেসামরিক সরকার পতনের পর থেকে মিয়ানমার বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির গণতন্ত্রের সংক্ষিপ্ত সময়ের সমাপ্তি ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে রক্ষীরা একজন বন্দীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে পাথেইনের কারাগারে দাঙ্গা শুরু হয়।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে প্রায় ৭০ জন বন্দি তাদের সেল ও ক্ষতিগ্রস্থ বাসস্থান থেকে পালিয়ে যায়।
জান্তা বলেছে, বন্দিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য লাঠি, ইট এবং সিমেন্টের টুকরো ব্যবহার করেছিল।
কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও আলোচনা ব্যর্থ হয়। পরে তারা বলপ্রয়োগের আশ্রয় নেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ ভিড় ভাঙতে ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়েছে।
জান্তা বলছে, সংঘর্ষে একজন বন্দী নিহত, দুই পুলিশ ও নয়জন প্রহরীসহ ৬৩ জন বন্দি আহত হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মৃত বন্দিকে রাজনৈতিক আটক হিসাবে বর্ণনা করেছে। বিবিসি বার্মিজ বলছে, সে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আটক হয়েছিল।
ঘটনার তদন্ত শুরুর কথাও জানিয়েছে জান্তা।
গত সপ্তাহে জান্তা ঘোষণা করে, তারা ব্রিটেন থেকে মিয়ানমারের স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৭,০০০ এরও বেশি বন্দিকে মুক্ত করবে।
একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ২,৭০০ জনেরও বেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া ভিন্নমতের বিরুদ্ধে পীড়নের অংশ হিসাবে ১৩,০০০ জনেরও বেশি জনকে আটক করা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাসে, সরকারের সাবেক আইন প্রণেতা ফিও জেয়া থাও ও গণতন্ত্র কর্মী কিয়াও মিন ইউসহ চার বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল।
গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি মিয়ানমার রাষ্ট্রের মৃত্যুদণ্ড সাজার প্রথম ব্যবহার।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, মিয়ানমারের কারাগারগুলো কঠোর অবস্থা ও তাদের কথিত নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত।