ইরানে আরও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে গড়ে ওঠা চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর তিন সদস্যকে হত্যার অভিযোগে এ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ইরানের একটি আদালত।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। খবর এএফপির।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি মাহসা আমিনি নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ার পর থেকেই ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ বিক্ষোভ ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।
সবশেষ যে তিন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, তারা আপিল করতে পারবেন। এর ফলে এখন পর্যন্ত চলমান বিক্ষোভে সংশ্লিষ্টতায় মোট ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। অপর দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আপিল খারিজ করে দিয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ আদালত।
বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট ‘মিজান’-এ বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন ব্যক্তি হলেন-সালেহ মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি ও সাইদ ইয়াগৌবি। আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অভিযোগে তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়া হলো।
এর আগে চলমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণ এবং দেশটির আধাসামরিক বাসিজ বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার দায়ে শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত মামলায় আরও দুজনের শিগগিরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে–এমন খবরে কয়েক ডজন মানুষ ইরানের কারাজ শহরের একটি কারাগারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে তেহরানের কাছে কারাজের রাজাই-শাহর কারাগারের সামনে ২২ বছর বয়সী মোহাম্মদ ঘোবাদলু ও ১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ বোরোঘানির মৃত্যুদণ্ড রোধ করার জন্য বিক্ষোভ হয়েছে।