রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান সোমবার আবারও ফোনালাপ করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন বলেছে, দুই নেতা ইউক্রেনে আহত বন্দিদের বিনিময়, তুরস্কে গ্যাস হাব প্রতিষ্ঠা এবং কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রফতানির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর একাধিবার ফোনে কথা বলেছেন পুতিন ও এরদোয়ান। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার খাদ্যশস্য রফতানি নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে মিলিত হয়ে মধ্যস্থতা করেছে তুরস্ক। ইউক্রেনে আক্রমণের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা নেতাদের অন্যতম হলেন এরদোয়ান। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ৪ জানুয়ারি দুই নেতার ফোনালাপ হয়েছে।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেতার মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে তুরস্কে দুই দেশের মানবাধিকার কমিশনারদের বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছিল।
ক্রেমলিন বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভের শাসকদের ধ্বংসাত্মক প্রবণতার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। যা পশ্চিমাদের পৃষ্ঠপোষকতায় শত্রুতা বাড়ানোর ওপর নির্ভরশীল। পশ্চিমারা অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তর বাড়াচ্ছে।
কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য এবং রুশ সার ও খাদ্য রফতানির বাধা দূর করার বিষয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।
ক্রেমলিন বলেছে, অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে জ্বালানি খাতে সহযোগিতায়। যার আওতায় তুরস্কে একটি আঞ্চলিক গ্যাস হাব প্রতিষ্ঠা ও রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি ছিল।
এরদোয়ান-পুতিন তুরস্ক ও সিরিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। বিশেষ করে যখন পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় ধুঁকছে তাদের অর্থনীতি। ন্যাটো সদস্য হলেও পশ্চিমাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি আঙ্কারা। তবে ইউক্রেনে দখলকৃত চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে ড্রোন দিয়ে সহযোগিতা করছে দেশটি।