ভারতের সংবাদমাধ্যম শাসক দলের প্রচারযন্ত্র :রাহুল

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন সংস্করণ



ভারতের সংবাদমাধ্যম বর্তমানে শাসক দলের প্রচারযন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। ভারতের সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষমতাসীন বিজেপির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, কংগ্রেস বরাবরই স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল প্রচারমাধ্যমে বিশ্বাসী। তাদের কাজ হলো দেশের প্রকৃত চিত্র হাজির করা; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ভারতের মিডিয়া ধীরে ধীরে শাসক দলের প্রচারযন্ত্রে রূপ নিচ্ছে এবং সমাজে প্রতিনিয়ত ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। ফলে সমাজে বিভাজনও দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে।


তিনি বলেন, আমি অবশ্যই এ জন্য সাংবাদিকদের দোষ দেব না; আমি তাদের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানি। সাংবাদিকদের মালিকের নির্দেশ মেনে কাজ করতে হয়। এ কারণে আমি সাংবাদিকদের সমালোচনা করছি না, আমি সমালোচনা করছি সংবাদমাধ্যম কাঠামোর।


এদিকে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মাতৃ-সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে কোনো প্রকার সমঝোতার জন্য একেবারেই প্রস্তুত নন বলে জানান দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী (৫২)। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আরএসএস প্রসঙ্গে কঠোর বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেসের এই নেতা। নিজের আপন চাচাতো ভাই ও বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা বরুণ গান্ধী সম্পর্কিত এক ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, আমি বরং শির- েদের শিকার হব, কিন্তু তবুও কখনো আরএসএসের কার্যালয়ে যাব না; কোনো সমঝোতা করব না তাদের সঙ্গে।


ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ইন্দিরা গান্ধীর দুই সন্তান ছিলেন রাজীব গান্ধী ও সঞ্জয় গান্ধী। রাজীব গান্ধীর দুই সন্তান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী; আর সঞ্জয় গান্ধীর সন্তানের নাম বরুণ গান্ধী। বর্তমানে বরুণ গান্ধী (৪২) বিজেপির একজন জ্যেষ্ঠ ও প্রভাবশালী নেতা। ভারতের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশের পিলভিট আসনের এমপিও তিনি।


রাজনৈতিক সফরে বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে অবস্থান করছেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার রাজ্যের হুশিয়ারপুর শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে বরুণ গান্ধী সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, ‘বরুণ কোনো এক সময়ে আরএসএসের চিন্তাধারা, মতাদর্শকে আপন করে নিয়েছিল। এখনও সে পথেই আছে, কিন্তু আমার পক্ষে তা সম্ভব নয়। আমি তার ভাই; যদি কখনো আমাদের সাক্ষাৎ হয় তাকে জড়িয়ে ধরব। কিন্তু তার চিন্তাধারাকে কখনো গ্রহণ করতে পারব না। আর একটি কথা হলো, যদি সে কখনো কংগ্রেসের কোনো কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তার জন্য সমস্যা হবে। আমার চিন্তাধারার সঙ্গে তার মতাদর্শ মেলে না।


ভারতে আগামী লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৪ সালে। সেই নির্বাচন বিজেপির জন্য ‘বিপর্যয়কর’ হবে মন্তব্য করে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ‘সামনে নির্বাচনে বিজেপিকে বিশাল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। দিন দিন দেশে অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি প্রকট থেকে প্রকটতর হয়ে উঠছে। এসবের ফলে জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ জমছে, তারই প্রকাশ ঘটবে সামনের নির্বাচনে।’