ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে বারবার বিপর্যয়ের কারণে সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে এসব পরিবর্তন আনা হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রশাসনিক সংস্কারের পাশাপাশি রাশিয়ার নৌ, মহাকাশ এবং কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর মূল কাঠামোগত উপাদানগুলোকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সামরিক নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রক্ষা করা সম্ভব।
পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে ছায়াযুদ্ধের সূত্রপাত করেছে, সেটি এই পরিবর্তনকে আরও প্রয়োজনীয় করে তুলেছে বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে গত ১১ মাসে সামরিক বাহিনীতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে রাশিয়া। আক্রমণের শুরুতে দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দখল করলেও পরে বেশ কয়েকটি এলাকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে রুশ বাহিনী। গত সপ্তাহে সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে ইউক্রেনে রুশ অভিযানের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে বড় অঞ্চল দখল ও সশস্ত্র কর্মীর সংখ্যা ১৫ লক্ষে উন্নীত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র অভ্যন্তরীণ সমালোচনার মুখে রয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবারে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ইউক্রেনের দনেস্ক অঞ্চলের খনিজসমৃদ্ধ শহর সলেদারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে রুশবাহিনী।