বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিতে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারিতে আরও বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ১৪শ মানুষ। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় দুই লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ কোটি ২৪ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৩৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ২২১ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৫ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৩৯২ জন এবং মারা গেছেন ৪৫১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৩১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৪ হাজার ২২০ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯২২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৪৮ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৪২৮ জন এবং মারা গেছেন ১৬০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৪৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২৮ হাজার ২১৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৮১৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৯২ জন এবং মারা গেছেন ৬৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৭২ হাজার ২৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ডেনমার্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩০ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৪ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৯ জনের। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫১ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৯৭৭ জনের। একইসময়ে হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।