জেরুজালেমে বন্দুক হামলায় নিহত ৭
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের প্রান্তিক এলাকার একটি সিনাগগে (ইহুদিদের উপাসনালয়ে) এক বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে শহরের নেভ ইয়াকভ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবাগুলো জানায়, ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন পাঁচজন। এছাড়া আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এর মধ্যে একজন ৭০ বছর বয়সী নারীও রয়েছেন।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, মুখ ঢেকে রাখা এক ব্যক্তি সিনাগগের বাইরে জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ছেন এবং তাতে আহত হয়ে সড়কে লুটিয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন।
তবে সৌভাগ্যক্রমে ওই সিনাগগের কাছে পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সকর্মীদের উপস্থিতি থাকায় দ্রুত হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অ্যাম্বুলেন্সকর্মী শিমোন আলফাসি রয়টার্সকে বলেন, ‘(হামলার পর) আমরা প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছিলাম। তখন সেখানকার পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়ঙ্কর। সড়কে ৭-৮ জন মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। আমরা তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা’ হিসেবে উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে জেরুজালেম পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলাকারী ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ২১ বছর। তিনি একজন ফিলিস্তিনি এবং পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা।
গুলি চালানোর পর গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি, কিন্তু গাড়িতে ওঠার আগেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পুলিশের বিবৃতিতে হামলাকারী ওই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে যে গাড়িতে চড়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করছিলেন, সেটি জব্দ করা হয়েছে।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর নেভ ইয়াকভ শহরটিকে জেরুজালেমের সঙ্গে যুক্ত করে ইসরায়েল। তবে ফিলিস্তিনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে ইসরায়েলের অবৈধ দখল বলে আসছে।
এদিকে গাজায় হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের এই হামলা ছিল ইসরায়েলি দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কারণ এর আগে দখলদাররা জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায়।