প্রবল বর্ষণে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ঘরবাড়ি ধসে পড়ে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় শিলাসহ প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার কর্মকর্তা খাতের আহমেদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
রোববার (১১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ঘরবাড়ি ধসে পড়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। গাছ উপড়ে গেছে ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় দেড়শো মানুষ। কর্মকর্তারা আহতদের জরুরি ত্রাণ প্রদানের জন্য কাজ করছেন বলে আহমেদ জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শনিবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, আরব সাগর থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ করাচি উপকূলে এগিয়ে আসায় শেহবাজ শরিফ কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতিবেগসহ শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নুতে ভারী বৃষ্টির পর একজন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। সেই বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ৬৪৭ জন শিশু ছিল।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশটির বন্দরনগরী করাচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। করাচির সব সমুদ্র সৈকতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ ও বিচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।