ভারতের উড়িষ্যায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের গঞ্জাম জেলায়।
রোববার (২৫ জুন) মধ্যরাতে গঞ্জাম জেলায় দিগাপাহান্ডি থানা এলাকার খেমুন্ডি কলেজের কাছে বিয়েবাড়ির অতিথিদের নিয়ে একটি বাস রায়গড় থেকে ভুবনেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিক থেকে আসা একটি সরকারি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে সেটির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনেকের।
গুরুতর আহত অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এখনো মারাত্মক চোট নিয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও দমকল কর্মীদের তৎপরতায় বেরহামপুরের এমকেজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের।
বাস দু'টির গতি নিয়ন্ত্রণে ছিল কি না, কোনো যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে কি না, এগুলো খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গঞ্জাম জেলার কালেক্টর দিব্যজ্যোতি পারিদা বলেন, মর্মান্তিক ঘটনা। দু'টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন নারী ও শিশু।
বেরহামপুরের পুলিশ সুপার সরভানা বিবেক বলেন, রাত ১টা নাগাদ মুখোমুখি ধাক্কা লাগে দু'টি বাসের। বেসরকারি বাসটিরই বেশিরভাগ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সরকারি বাসের যাত্রীদের আঘাত কম।
জানা গেছে, সরকারি বাসটি রায়াগাড়া থেকে ভুবনেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল। বেরহামপুর থেকে বিয়েবাড়ির অতিথিদের নিয়ে ফিরছিল বেসরকারি বাসটি।
এরই মধ্যে এই দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে উড়িষ্যা সরকার। আহতদের মাথাপিছু ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবার পিছু দেওয়া হবে ৩ লাখ রুপি আর্থিক সাহায্য। গোটা ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। প্রত্যেকের আহতের দ্রুত ও উপযুক্ত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত ২ জুন উড়িষ্যার বালেশ্বরের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনো মোছেনি। এখনো বহু মানুষ আহত অবস্থায় কটক, ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। পাশাপাশি চোট সারিয়ে ঘরে ফিরলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সেই রাতে বাহানাগা বাজার স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও আরও এক ট্রেনের প্রায় ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ২৯২ জন।