পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ভয়াবহ বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুইশরও বেশি মানুষ। রোববার (৩০ জুলাই) রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলামা ইসলাম- ফজলের (জেইউই-এফ) একটি সম্মেলনে এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজুয়ার বিভাগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বাজুয়ায় জেলা জরুরি কর্মকর্তা সাদ খান নিহত ও আহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খারের জেইউআই-এফ নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জানও বিস্ফোরণে মারা গেছেন। আহত ব্যক্তিদের পেশোয়ার এবং টাইমারেরার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পৌঁছাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ সদস্যরা এলাকাটি ঘেরাও করে ফেলে।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পৌঁছাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ সদস্যরা এলাকাটি ঘেরাও করে ফেলে।
আহতদের মধ্যে একজন জিও নিউজের ক্যামেরাম্যান সামিউল্লাহ রয়েছে এবং তাকে লোয়ার দিরের জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারণ তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রদেশটির পুলিশ বিভাগের পরিদর্শক জেনারেল আখতার হায়াত বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সমাবেশে ওই রাজনৈতিক দলের একজন শীর্ষ নেতার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। তবে, তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর আগেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার তদন্ত দাবি করে হামদুল্লাহ বলেন, আমাদের কর্মীদের টার্গেট করার আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা পার্লামেন্টে এ নিয়ে আওয়াজ তুলেছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
হামদুল্লাহ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের জন্য প্রাদেশিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জামায়াত-ই-ইসলামি সিনেটর মুশতাক আহমেদও বিস্ফোরণের নিন্দা করেছেন। নিহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন তিনি।
সমাবেশের ভিতরে বোমা বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে জানা গেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। পুলিশ এখনও বিস্ফোরণের কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি। -সূত্র : জিও নিউজ, ডন