পাকিস্তানে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ যাত্রী নিহত ও ৮০ জনের বেশি আহত হয়েছে। করাচি থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাহারা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে আজ রবিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাভেলিয়ানগামী হাজারা এক্সপ্রেসের প্রায় ১০টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও প্রায় শতাধিক মানুষ। বোরবার দুপুরে করাচি থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে রাওয়ালপিন্ডিগামী ট্রেনটি নওয়াবশাহ স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, হাজারা এক্সপ্রেসের প্রায় ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এসব বগির কাছে বিপুলসংখ্যক যাত্রী জড়ো হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন যাত্রীকে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
লাহোরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে দেশটির রেল ও বিমান চলাচল মন্ত্রী খাজা সাদ রফিক বলেছেন, কর্তৃপক্ষকে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ২২ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির এই মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ট্রেনটি স্বাভাবিক গতিতে চলছিল বলে দেখা গেছে। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং সুক্কুর ও নবাবশাহ হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তান রেলওয়ের সুক্কুর বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মহসিন সিয়াল বলেছেন, অজ্ঞাতসংখ্যক বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, স্থানীয়রা বলছেন পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কেউ কেউ ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
শহীদ বেনজিরাবাদ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মুহাম্মদ ইউনিস চান্দিও নবাবশাহ শহরের এই ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার এই ঘটনাকে ‘বড় দুর্ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা জানাতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি নবাবশাহ জেলা প্রশাসককে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র: ডন, জিও নিউজ, এনডিটিভি