মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানান, দুর্নীতিবাজদের নির্মূলে ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের অর্থ পাচার নিয়ে প্রশ্ন করা হয় যে, বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান কি না। জবাবে মিলার বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই কথা বলে না।
ম্যাথু মিলারকে পাল্টা প্রশ্ন করে জানানো হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ বাংলাদেশে সফর করেছেন। এ সময় তিনি কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সফরকালে খবর বের হয় এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের অর্থ পাচার বিষয়ে। সরকারের একজন সহযোগী হিসেবে এস আলম এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে। অর্থ পাচারের বিষয়ে স্টেটওয়াচ ডটনেট ও ওসিসিআরপি একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠককালে রিচার্ড নেফিউ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তার প্রশ্ন হলো, বিশেষ করে যারা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়?
জবাবে মিলার বলেন, আমি এর আগে অন্য একটি দেশের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে যেমনটা বলেছি, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে আমরা কখনোই কথা বলি না। সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে নিষেধাজ্ঞা। আমাদের আরও কিছু হাতিয়ার রয়েছে। যেমন সম্পদ জব্দ করা। অংশীদার দেশগুলোকে তথ্য দেওয়া, যাতে তারা মামলা করতে পারে।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তারা অনেকবার স্পষ্ট করেছেন, এখান থেকে তিনি অনেকবার স্পষ্ট করেছেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বিষয়টি প্রকাশ্যে স্পষ্ট করেছেন। তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।