ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের মৃত্যুর পর ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংগঠন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হতে যাচ্ছেন এক কুখ্যাত গোয়েন্দা। তার নাম জেনারেল আন্দ্রে অ্যাভেরিয়ানভ। তিনি বর্তমানে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের গোপন আক্রমণাত্মক অভিযানের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে ফক্স নিউজ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের মৃত্যুর পর ওয়াগনার গ্রুপের আফ্রিকা অভিযান পরিচালনার জন্য জেনারেল আন্দ্রে অ্যাভেরিয়ানভকে নিয়োগ করা হচ্ছে।’
আভেরিয়ানভ বর্তমানে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের গোপন আক্রমণাত্মক অভিযানের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন এবং তার বিরুদ্ধে রুশ ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিগোশিনের মৃত্যুর পর আফ্রিকায় ওয়াগনারের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব তার হাতে রয়েছে।
জুলাইয়ে রাশিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনের সময় আভেরিয়ানভ আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই শীর্ষ সম্মেলনে প্রিগোশিনও উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনের বিরুদ্ধে তার সংক্ষিপ্ত বিদ্রোহের পর তিনি সেই রুশ-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। বিদ্রোহের পর এভাবে তিনি প্রথমবার জনসাধারণের সম্মুখে আসেন।
এরপর গত সপ্তাহে প্রিগোশিনের প্রাইভেট জেট বিমান বিধ্বস্ত হয়, তখন তিনিসহ ওয়াগনারের অনেক শীর্ষ নেতা মারা যান। প্রিগোশিনের ডান হাত এবং ওয়াগনারের কথিত সহ-প্রতিষ্ঠাতা দিমিত্রি উটকিন ও ওয়াগনারের অ-সামরিক লজিস্টিক প্রধান ভ্যালেরি চেকালভ ওই বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী ছিলেন।
এই বছরের শুরুতে বিদ্রোহের পর পুতিন ওয়াগনার যোদ্ধাদের ইউক্রেন অভিযান প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিলেন। তবে, এ ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংগঠনটি আফ্রিকাতে ব্যাপকভাবে সক্রিয় রয়েছে।
প্রিগোশিনের বিমানটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে অনেক বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে পুতিন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধানকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।