আবারও শাটডাউন বা অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মুখে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ডেমোক্রেট সরকারের বাজেট পাশ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নতুন করে সৃষ্টি হতে পারে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা।
১ অক্টোবর নতুন বাজেট পাশে ব্যর্থ হলে ব্যয় নির্বাহ নিয়ে মার্কিন সরকার সংকটে পড়বে বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
খবরে বলা হয়েছে, অর্থাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের সামরিক, পরিবহন ও বিচার বিভাগের মতো অনেকগুলো শাখাই স্থবির হয়ে যেতে পারে। কোনো আর্থিক প্রণোদনা ছাড়াই চাকরিচ্যুত হতে পারেন কয়েক লাখ কর্মচারী।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি জানিয়েছে, বাজেট পাশে ব্যর্থ হলে ঋণের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব আসতে পারে। তবে সংকট কাটাতে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে কিছু স্বল্পমেয়াদি সরকারি ব্যয় বিল পাশ হয়েছে। সরকারি কার্যক্রম সচল রাখতে এই বিলের মাধ্যমে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে ১২শ কোটি মার্কিন ডলার খরচের অনুমোদন দেবে কংগ্রেস।
তবে সিনেটে বিলটি পাশ হলেও প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাশ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ নিম্নকক্ষের বেশিরভাগ সদস্যই রিপাবলিকান। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটদের সঙ্গে বিরোধীদল রিপাবলিকানদের সমঝোতা ও ঐকমত্য না থাকায় মার্কিন কংগ্রেসে যেকোনো বিল পাশের ক্ষেত্রে বরাবরই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, অস্থায়ীভাবে সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকানদের কাছ থেকে একটি বিলের অনুমোদন চাইবেন। দুই দলের বিরোধিতা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মার্কিন সরকারকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সচল রাখতে স্থানীয় সময় শুক্রবার স্বল্পমেয়াদি তহবিল বিল পাসের চেষ্টা হয়েছিল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে। তবে সেখানে রিপাবলিকানদের আপত্তিতে বিলটি অনুমোদন পায়নি। চূড়ান্ত পর্বে বিলের বিপক্ষে ২৩২ এবং পক্ষে ১৯৮টি ভোট পড়ে।
হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি অবশ্য আশা ছাড়ছেন না। চেম্বারে শনিবার আবার ভোট হওয়ার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মার্কিন সরকারকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সচল রাখতে স্থানীয় সময় শুক্রবার স্বল্পমেয়াদি তহবিল বিল পাসের চেষ্টা হয়েছিল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে। তবে সেখানে রিপাবলিকানদের আপত্তিতে বিলটি অনুমোদন পায়নি। চূড়ান্ত পর্বে বিলের বিপক্ষে ২৩২ এবং পক্ষে ১৯৮টি ভোট পড়ে।