সিকিমে আকস্মিক বন্যায় ২৩ ভারতীয় সেনা নিখোঁজ

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ২৩ জন সেনাসদস্য নিখোজঁ হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বহু সেনা। এছাড়া পার্বত্য এই উপত্যকার কিছু সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুংথাং বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার ফলে হঠাৎ করে পানির স্তর ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায়। এর ফলে সিংটামের কাছে বারদাংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীর বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন সেনা সদস্য নিখোঁজ এবং কিছু যানবাহন ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তল্লাশি অভিযান চলছে।

এনডিটিভি বলছে, সিকিমে রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল ওই বৃষ্টির পর উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদের পানি উপচে পড়ে এবং তিস্তা নদীর পানির স্তর অনেক বেড়ে যায়। তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করেছে।

অন্য এক বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর সিকিমের সিংতামে যে সেনার ছাউনি ছিল, সেখানে তিস্তার পানি প্রবেশ করে। পানিতে ভেসে গেছে সেনাবাহিনীর অন্তত ৪১টি গাড়ি।

তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ি জেলার বিশাল অংশ দিয়ে তিস্তা প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। তার পর সেটি মিশেছে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণ করা এবং শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায় বন্যার পানিতে সেখানকার রাস্তা তলিয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা পরিদর্শনকালে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বলেন, কেউ আহত হয়নি তবে সরকারি সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। সিংটামে কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

সিকিমের চুংথাং হ্রদ উপচে পড়ায় তিস্তা নদী ফুলে-ফেঁপে উঠেছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির হিসেবে, গজলডোবা, দোমোহনী, মেখলিগঞ্জ এবং ঘিশের মতো নিচু এলাকাগুলো বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সিকিমের চুংথামে হ্রদ ফেটে পড়ার পর তিস্তার পানির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তিস্তার উপর তৈরি একাধিক বাঁধে। স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে এর আশপাশের নিচু এলাকাগুলো বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।