রসায়নে নোবেল পেলেন তিন গবেষক

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

কোয়ান্টাম ডট টেকনোলজি আবিষ্কার এবং এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিকস পণ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লব আনার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২৩ সালের জন্য রসায়নে নোবেল বিজয়ী হয়েছেন দুই মার্কিন ও এক রুশ বিজ্ঞানী।

রসায়নে নোবেল বিজয়ী তিনজন হলেন, মুঙ্গি জি. বাভেন্দি, লুই ই. ব্রুস ও অ্যালেক্সেই আই. আকিমভ।

মূলত রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের ভুলের কারণে নামগুলো আগে ফাঁস হয়। সংস্থাটি সুইডেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আফটোনব্লাডেটের কাছে একটি ইমেইলে জানায় এই তিনজনকে এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়া হবে।

এছাড়া ওই ইমেইলে পুরস্কার দেওয়ার কারণও উল্লেখ করা হয়েছিল। এতে বলা হয়, ‘কোয়ান্টাম ডটস, ন্যানোপার্টিকেলস আবিষ্কার এবং উন্নয়নকে পুরস্কৃত করছে ২০২৩ রসায়ন নোবেল পুরস্কার। যেটি এতটাই ছোট যে এগুলোর আকার নিজস্ব বৈশিষ্ট নির্ধারণ করে।’

সোমবার থেকে এই বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে চিকিৎসা ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম।

মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও সুইডেনের তিন বিজ্ঞানী। ইলেকট্রন গতিবিদ্যার গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে এই পুরস্কার দিয়েছে নোবেল কমিটি।

নোবেলজয়ী এ তিন পদার্থবিদ এমন আলোর ফ্ল্যাশ (ঝলকানি) তৈরি করেছেন যেগুলো ‘অতি দ্রুত চলাচলকারী’ ইলেকট্রনের স্ন্যাপশট নিতে পারে। ইলেকট্রন সাধারণত এত দ্রত চলাচল করে যে এটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার বিষয়টি আগে অসম্ভব মনে করা হতো।

ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।