গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:০০ | অনলাইন সংস্করণ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা দুই সপ্তাহ ধরে দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭৮ জনে। এছাড়া ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় খাবার পানিও শেষ হয়ে আসছে। সেখানে মানবিক সংকট পৌঁছেছে চরমে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ উপকূলীয় ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে আহত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মানুষ। পশ্চিম তীরে আহতের সংখ্যা ১৩ শতাধিক। নিহতদের মধ্যে এক হাজারের বেশিই শিশু। বাকিদের বেশিরভাগই নারী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করছে। জাতিসংঘের নির্মাণ করা স্কুল, হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার গুদামেও বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। এসব তথ্য জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা, রেডক্রসসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা।

এসোসিয়েট প্রেস (এপি) বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাজা উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব স্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে ফুরিয়ে যাচ্ছে গাজার জীবন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজা সাধারণত ইসরায়েল থেকে পাইপলাইন, ভূমধ্যসাগরে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট এবং কূপসহ কয়েকটি উৎস থেকে পানি পায়। শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাসের হামলার পর ইসরায়েল বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে গাজায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পানির উৎসগুলো থেকে পানি সংগ্রহের উতসও হ্রাস পেয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, পানি সরবরাহ মানবাধিকারের অংশ। এটি মৌলিক চাহিদার একটি। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি সরবরাহ প্রয়োজন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ব্যাপক মানবিক দুর্ভোগ কমাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।