কেমন হবে স্বাধীন ফিলিস্তিন, জানালেন মিসরের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের বিষয়টি। যুদ্ধপরবর্তী গাজা ও ফিলিস্তিনের ভাগ্য কী হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলসহ বিভিন্ন আরব দেশ। এরই মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি রূপরেখা দিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিদের হাতে কতটুকু নিয়ন্ত্রণ থাকবে নিজ রাষ্ট্রের আর ইসরায়েলের সঙ্গেই বা কী সম্পর্ক হবে দেশটির।

মিসরের প্রেসিডেন্ট জানান, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে নিরস্ত্রীকরণ করা হতে পারে। সেখানে নিজস্ব সেনাবাহিনীর পরিবর্তে একটি অস্থায়ী আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী অবস্থান করতে পারে। স্থানীয় সময় শুক্রবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু-এর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে নিরস্ত্রীকরণ করতে আমরা প্রস্তুত। যতদিন এই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হবে ততদিন ফিলিস্তিনে ন্যাটো বাহিনী, জাতিসংঘ বাহিনী, আরব বা আমেরিকান বাহিনী অবস্থান করতে পারে।

সিসি বলেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের নির্ধারিত সীমানা নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসলেও রাজনৈতিকভাবে তার কোনো সমাধান এখনো আসেনি। এদিকে, চার দিনের যুদ্ধবিরতি চললেও তাকে সাময়িক বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছে ইসরায়েল। বলছে, এ যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই আবারও হামলা চালানো হবে গাজা উপত্যকায়। এমনকি যুদ্ধপরবর্তী গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এর আগে, এমন পরিস্থিতিতে চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার নিরাপত্তা রক্ষায় সেখানে আরব বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি চলতি সপ্তাহে লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠানোর কোনো ইচ্ছে আরবদের নেই। কেননা, ইসরায়েলের হামলার কারণে উপত্যকাটি পরিত্যক্ত ভূমিতে পরিণত হতে পারে। সাফাদি জানান, কোনো পরিস্থিতিতে যদি আরব বাহিনী গাজায় প্রবেশ করে তবে সেখানে তাদের ইসরায়েলের শত্রু হিসেবে দেখা হবে এবং মনে করা হবে তারা ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ নির্মূল করতে এসেছে। এমন পদক্ষেপ কেবল পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আরবরা যদি কোনো পদক্ষেপ না গ্রহণ করে তাহলে স্পষ্টতই গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের নির্ভর করতে হবে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সক্ষমতার ওপর। আর না হয়, উপত্যকাটির নিয়ন্ত্রণ প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছেই থাকবে।