যুদ্ধবিরতির মধ্যে পশ্চিম তীরে ৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

চলমান চারদিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার জেনিন শহরে অনুপ্রবেশের সময় ইসরায়েলি গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হন। এইদিনে ভোরে জেনিনের নিকটবর্তী একটি বাড়ি ঘেরাও করে শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ইসরায়েলি বাহিনী। এসময় নিজ বাড়ির বাইরে ২৫ বছর বয়সী এক চিকিৎসক এবং রামাল্লার কাছে এল-বিরেহ এলাকায় আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরে প্রবেশরত সামরিক যানবাহনের উপর দিয়ে হেলিকপ্টার উড়ছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান চারদিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের (এসআইএস) প্রধান দিয়া রাশওয়ান।

তিনি বলেছেন, যুদ্ধের সব পক্ষের কাছ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সংকেত পেয়েছেন তারা। যদি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটি এক অথবা দুইদিন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার প্রকাশ করা বিবৃতিতে স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের প্রধান আরও বলেছেন, মিসর যুদ্ধের সব পক্ষের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা চালাচ্ছে যেন— যুদ্ধবিরতির মেয়াদ এক অথবা দুইদিন বাড়ানো হয়। যার অর্থ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লে ‘গাজা থেকে আরও জিম্মি এবং ইসরায়েলি কারাগার থেকে আরও ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর থেকে হাসপাতাল, বাসস্থান এবং উপাসনালয়সহ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থাপনায় টানা বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের প্রাণহানি এক হাজার ২০০ জনে পৌঁছেছে বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে। যদিও প্রথমে হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসরায়েল।