ভারতে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দেশটিতে প্রথম করোনা ভাইরাসের উপ-ধরন (সাব-ভ্যারিয়েন্ট) জেএন.১ সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলোকে সাতটি নির্দেশাবলী পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় আসন্ন উৎসবের মৌসুমে সতর্ক হতে বলার পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ বাড়ছে কি না সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে রাজ্যগুলোকে।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালাতের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। এজন্য জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্যটিতে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয়েছিল জেএন.১।
কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে ৭৯ বছরের এক নারীর দেহের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তিনি জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি থেকে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এক নারী। তার দেহেও ধরা পড়েছিল করোনাভাইরাসের জেএন.১ উপধরন।
নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ নিয়ে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল, তা মেনে চলতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে যে রোগীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে আসছেন, তাদের ওপর নজর রাখতে হবে। এ নিয়ে জেলাভিত্তিক রিপোর্ট দিতে হবে। এর ফলে রোগের প্রাথমিক প্রবণতা ধরা পড়বে। করোনার নির্দেশনা মেনে প্রত্যেক জেলায় পরীক্ষার যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখতে হবে। আরটিপিসিআর এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কারও রিপোর্ট পজিটিভ এলে নমুনার জিনোম পরীক্ষার জন্য ইন্ডিয়ান সার্স কোভ-২ জেনোমিক কনসোর্টিয়ামে পাঠাতে হবে। যাতে দ্রুত নতুন উপধরন শনাক্ত হয়। সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো কতটা প্রস্তুত, তা বোঝার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে মহড়ায় অংশ নিতে হবে। নাগরিকদের বারবার সতর্ক করার কথাও বলা হয়েছে রাজ্যগুলোকে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে।