ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ১৮৭ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিক। নিহতদের ভেতর একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে এক বিজ্ঞপ্তিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ঘটনার পর গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ হাজার ৫০৭ জনে, যা শতাংশ হিসেবে গাজার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থায় বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের পাঠানো খবরে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস, উত্তরাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং গাজার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক গুলি ও গোলা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলের স্থল বাহিনী। পাশাপাশি বোমা বর্ষণ করেছে বিমান বাহিনীও। ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই খান ইউনিস দখল করেছিল ইসরায়েলি সেনারা। সেখান থেকেই সর্বশেষ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে।
রুশ বাহিনীর বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে নিহত ৩১
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত শুক্রবার(২৯ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গাজায় অভিযানরত ইসরায়েলী সেনারা বর্তমানে হামাসের বিভিন্ন কমান্ড সেন্টার এবং অস্ত্রাগারের ধংস করছে। সর্বশেষ সেখানকার একটি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্কটির সঙ্গে গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাসভবনের সংযোগ ছিলো।এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় নিহত ১৮৭ জনের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। গাজাভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-কুদস টিভিতে কর্মরত ওই সাংবাদিক ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর আশ্রয় নিয়েছিলেন নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে।
শুক্রবার নুসেইরাতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলায় সপরিবারে নিহত হয়েছেন সেই সাংবাদিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গত আড়াই মাসের অভিযানে উপত্যকায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা পৌঁছেছে মোট ১০৬ জনে।