ভারী বৃষ্টিতে আরও বেড়েছে গাজাবাসীর দুর্ভোগ
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি হামলা থেকে গাজার মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল—কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি। হামলা থেকে বাঁচতে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ লাখ মানুষ আজ ঘরবাড়ি ছাড়া। তাদের মধ্যে অনেকে সড়কে বা পার্কে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারী বৃষ্টি তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত শরণার্থী শিবিরগুলো বন্যা ও নর্দমায় পরিপূর্ণ। এরই মধ্যে আবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা আরও বেড়েছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবির থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা আনাস আল-শরিফ বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ ও অবরোধের মাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে নাগরিকদের সামনে নতুন আরেক সমস্যা এসে হাজির হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে নগর কর্তৃপক্ষ আর কাজ করতে পারছে না। কারণে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের যানবাহন ধ্বংস করে দিয়েছে।
এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, আমরা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এখানে নতুন আরেক যুদ্ধের মুখে পড়েছি। পয়ঃনিষ্কাশনের পানি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে সেগুলো প্লাবিত করছে। আমাদের শিশুরা রোগ ভুগছে। আর আমরা অসুস্থতায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বেঁচে আছি।
হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ২২ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৭ হাজার ৯১০ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বর্তমানে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। সেখানে অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।