জর্ডানে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর হোয়াইট হাউজ বলেছে, এই হামলার কড়া জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিজেদের সেনাদের রক্ষার জন্য তারা ‘সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। যদিও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন জোর দিয়ে বলছে, তারা ইরানের সাথে যুদ্ধ চাইছে না।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত রোববারের ওই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি সেনা আহত হয়। গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রাণঘাতীর কোনো ঘটনা। এছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং গাজায় ইসরায়েলের বিধ্বংসী প্রতিশোধমূলক হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল, এই হামলা সেই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পেন্টাগনে ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গের সাথে বৈঠকের শুরুতে অস্টিন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) ও আমি মার্কিন বাহিনীর ওপর কোনো ধরনের হামলা সহ্য করব না এবং আমাদের সৈন্যদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেব।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন গতকাল বলেছেন, আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া বহুস্তরের হতে পারে এবং তা পর্যায়ক্রমে আসতে পারে আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলতে পারে।
রয়টার্স বলছে, গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান বাহিনীকে ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান এবং ইয়েমেনের উপকূল থেকে ইরান-সমর্থিত বাহিনী ১৬০ বারেরও বেশি বার আক্রমণ চালিয়েছে।