এবার তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পরদিনই এমন আরও একটি বড় দুঃসংবাদ পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইসলামাবাদের জবাবদিহিতা আদালত (অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট) এই রায় ঘোষণা করেন।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় তোশাখানা পরিচালনা করে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নিয়ম অনুযায়ী, অন্যান্য দেশের সরকার ও রাজ্যের প্রধান, সংসদ সদস্য, আমলা, কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া তোশাখানায় সংরক্ষিত মূল্যবান উপহার ও উপকরণগুলোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পিটিআই সরকারে থাকাকালে ইমরান খানের পাওয়া উপহারের যথাযথ বিবরণ প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে পিটিআই তাদের দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে পারবে না। এছাড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইমরান খানকেও। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সাইফার (সরকারি গোপন তথ্য প্রকাশ) মামলায় ইমরান খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। একদিন পরই তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে নতুন করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলো।
এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। এরপর তার বিরুদ্ধে একে একে শতাধিক মামলা হয়। সেনাসদর দফতরে হামলাসহ ২০২৩ সালের ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় তাকে কমপক্ষে ১২টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারের পর নাটকীয়ভাবে মুক্তি পান তিনি। একই বছর ৫ আগস্ট আবারও গ্রেফতার হন। অবশ্য প্রথমবারের গ্রেফতার হওয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। তার সমর্থকরা সামরিক বাহিনীর স্থাপনাতে অনেক সহিংসতা চালিয়েছিল।
বুধবারের (৩১ জানুয়ারি) এ রায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরান খানকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে ১০ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।