ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জিম্মি জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা

‘মুক্তিপণ না পেলে আমাদের সবাইকে একে একে মেরে ফেলা হবে’

‘মুক্তিপণ না পেলে আমাদের সবাইকে একে একে মেরে ফেলা হবে’

ভারত মহাসাগরে অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলেপড়া বাংলাদেশি জাহাজটি থেকে জিম্মি নাবিকরা বাঁচার আকুতি জানিয়ে অডিও বার্তা দিয়েছেন।

জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ইফতারের পরপর মুঠোফোনে তার স্ত্রীর কাছে একটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন।

অডিও বার্তায় আতিক উল্লাহ খান জানান, ‘এই বার্তাটা সবাইকে পৌঁছে দিও। আমাদের সবার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, তাদের (জলদস্যু) যদি মুক্তিপণের অর্থ না দেয়া হয়, তবে আমাদের একজন একজন করে সবাইকে মেরে ফেলতে বলা হয়েছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেবে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।’

মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের নন্দনকাননে আতিক উল্লাহ খানের বাসায় গেলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো তার বার্তাটি স্বজনেরা সাংবাদিকদের দেখান।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। এরপর ১০০ জনের মতো জলদস্যু জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। জাহাজে আতিক উল্লাহসহ ২৩ বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। তারা জিম্মি হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে প্রতিটি মুহূর্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পার করছেন নাবিকদের স্বজনেরা।

আতিক উল্লাহর মা শাহানুর বলেন, মাগরিবের সময় ছেলের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। তখন আতিক তাকে বলেছেন, তাদের ৫০ জন জলদস্যু ঘিরে রেখেছে। একটা কেবিনে বন্দী সবাই। তাদের সোমালিয়া নিয়ে যাচ্ছে। আড়াই দিনের মতো লাগবে ওখানে পৌঁছাতে। সবার জন্য দোয়া চেয়েছেন আতিক।

এম ভি আবদুল্লাহ জাহাজটি এস আর শিপিংয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছিল। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাই আসছিল পণ্যবাহী জাহাজটি। মালিকপক্ষ জিম্মি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাবিকদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

জলদস্যু,জিম্মি,জাহাজ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত