যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় বেরিল। এতে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেরিলের তাণ্ডবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ। হিউস্টন বিমানবন্দর থেকে বাতিল করা হয়েছে ১৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট।
স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, বেরিলের তাণ্ডব চালানোর পর ২ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে পারলেও বাকিরা এখনো অন্ধকারেই আছেন।
সোমবার রাতে আঘাত হানা ওই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে আঘাত হানা এই ঝড়ে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে তিনজন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব টেক্সাসে আঘাত হেনেছে। প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসের ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে আঘাত হানা এই ঝড়ে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছন কমপক্ষে দুইজন।
বিবিসি আরও বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে যখন বেরিল প্রথম টেক্সাসে আঘাত হানে, তখন এটি একটি ক্যাটাগরি ওয়ান হারিকেন হিসাবে সেখানে আছড়ে পড়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে ধীরে ধীরে শক্তি কমে এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
কর্মকর্তারা ধ্বংসাত্মক বাতাস, ১৫ ইঞ্চি (৩৮ সেমি) পর্যন্ত বৃষ্টি এবং ‘জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী’ ঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এছাড়া হিউস্টনের বৃহত্তম বিমানবন্দরে ১৩০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
টেক্সাসে সোমবার ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মূলত বাতাসের ধাক্কায় বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়ায় এবং হ্যারিস কাউন্টিতে তার বাড়িতে গাছে ভেঙে পড়ে প্রাণ হারান তিনি। গাছ ভেঙে বাড়ির ওপরে পড়ার ফলে তার ছাদ ধসে পড়েছিল। একই কাউন্টিতে হিউস্টনের কিছু অংশও রয়েছে এবং সেখানে ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার বাড়ির ছাদে গাছ ভেঙে পড়ার পরে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।