নাইজেরিয়ার মধ্য প্লাটিউ রাজ্যের একটি স্কুল ভবন ধসে ২২ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং ১৩০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে পাঠদান চলার সময় রাজ্যটির রাজধানী জসে সেইন্ট অ্যাকাডেমি নামের ওই স্কুলের ভবন ধসে পড়লে চাপা পড়ে শিক্ষার্থীরা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উদ্ধারকর্মীরা। এক্সক্যাভেটর ও হাতুড়ি দিয়ে ধসে পড়া বড় বড় কংক্রিটের স্তুপ গুঁড়িয়ে দিয়ে চাপাপড়াদের উদ্ধারে হাত লাগান তারা।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত অনেককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজারের বেশি।
দুর্ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ’ দাবি করে অ্যাবেল ফুয়ানদাই নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বিবিসিকে জানিয়েছেন, স্কুলভবন ধসে তার বন্ধুর ছেলেও মারা গেছে।
তিনি জানান, উদ্ধারকর্মীরা এবং জরুরি সেবার কর্মীরা এক্সক্যাভেটর দিয়ে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে চাপা পড়াদের উদ্ধারে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্কুলভবনটি ধসে পড়ার কারণ জানা না গেলেও স্থানীয়রা বলছেন, প্লাটিউ রাজ্যে টানা তিন দিন ধরে ভারি বৃষ্টির পরই এ ঘটনা ঘটে।
উইলিয়া ইব্রাহ্রিম নামের আহত এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে এএফপির কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে।
“ক্লাসে ঢুকেছি পাঁচ মিনিটও হয়নি, আমি একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। তারপর আমি নিজেকে এখানে (হাসপাতাল) আবিষ্কার করি। ক্লাসে আমরা অনেকেই ছিলাম, আমরা পরীক্ষা দিচ্ছিলাম।”
স্থানীয় বাসিন্দা চিকা ওবিওহা বলেছেন, তিনি বেশ কয়েকটি মৃতদেহ এবং কয়েক ডজন আহতকে উদ্ধার করতে দেখেছেন।
“উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য সবাই ছুটে এসেছে,” বলেন তিনি।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন নাইজেরিয়ায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান মান্ডুয়েট।
এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সেইন্ট একাডেমিতে (ভবন) ধসে তরুণ কিছু জীবনের মর্মান্তিক ক্ষতি হল। স্কুলভবনটি যখন ধসে পড়ে তখন স্বপ্নে ভরপুর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইজেরিয়ায় ভবন ধসের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা এজন্য নির্মাণকাজ ও নির্মাণসামগ্রীর নিম্নমান এবং দুর্নীতিকে দায়ী করেন।
২০২১ সালে লাগোসের অভিজাত এলাকার একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।