বাংলাদেশে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ না করতে আমেরিকা যে নির্দেশনা দিয়েছিল তা শিথিল করা হয়েছে। তবে এবার পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ভ্রমণ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়। গত জুলাইয়ের ভ্রমণ সতর্কতার আপডেট প্রকাশ করা হয়েছে এতে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে গত জুলাইয়ে চতুর্থ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা জারি হয়। এর ফলে মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দেশে ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয় তখন। এবারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নাগরিকরা বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, অস্থিরতা, অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন। কিছু এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক সমাবেশ এড়িয়ে চলুন; শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। ব্রেকিং ইভেন্টগুলোর জন্য স্থানীয় মিডিয়ায় নজর রাখুন।
এতে বলা হয়, কোনো ডাকাতির প্রচেষ্টাকে শারীরিকভাবে প্রতিহত করবেন না। একটি নিরাপদ এলাকায় যান এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধমূলক ঘটনা রিপোর্ট করুন। কনস্যুলার পরিষেবাগুলোর আপডেটসহ সতর্কবার্তা পেতে স্মার্ট ট্র্যাভেলার এনরোলমেন্ট প্রোগ্রামে নথিভুক্ত করুন।
নির্দেশনায় বলা হয়, ফেসবুক ও এক্সে স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনুসরণ করুন। বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি সিকিউরিটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করুন। জরুরি পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখুন। অনুগ্রহ করে ট্রাভেলার্স চেকলিস্ট পর্যালোচনা করুন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাস, অপহরণ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোতে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
এতে আরও বলা হয়, আপনি যদি এই অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন তবে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা অফিসের পূর্বানুমতি প্রয়োজন হবে।
পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, সন্ত্রাসবাদী আক্রমণগুলো সামান্য বা কোনো সতর্কতা ছাড়াই ঘটতে পারে। পর্যটন স্থান, পরিবহন কেন্দ্র, বাজার/শপিং মল, রেস্তোরাঁ, উপাসনালয়, স্কুল ক্যাম্পাস এবং সরকারি জায়গাগুলোতে হামলা হতে পারে।