এ বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে অনবদ্য অবদান রাখায় এ ক্যাটাগরিতে এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। নোবেল প্রাইজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাইক্রো আরএনএ আবিস্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখায় তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
ঘোষণার আগে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে নোবেল কমিটি। আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হবে। পুরস্কার ঘোষণার সবকিছু নোবেল প্রাইজ নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হবে।
প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য, ১১ অক্টোবর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার শান্তিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।
১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন তার নামে প্রতিবছর ৫টি বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে এই তালিকায় আরও একটি ক্যাটাগরি যুক্ত হয়। তখন থেকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকো এবং আমেরিকান বিজ্ঞানী ড্রিউ উইসম্যান। কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পান তারা।
আবা/এসআর/২৪