ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড় মিল্টন

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে চরম বিপজ্জনক হ্যারিকেন মিল্টন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। ফলে সেখানকার অন্তত ১৩ লাখ পরিবার ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দেশটির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের বরাতে এই খবর জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, এসময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। সিয়েস্তা কী নামক একটি দ্বীপে এই গতি রেকর্ড করা হয়েছে। সিয়েস্তা কী দ্বীপটি ফ্লোরিডার টাম্পা বে উপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে অবস্থিত। এই দ্বীপটিতে প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিলটন। মেক্সিকো উপসাগর থেকে প্রাণঘাতী জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে এ হারিকেন। পাশাপাশি, প্রবল শক্তিশালী বাতাসের কারণে ব্যাপক সম্পদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার হালনাগাদ এ তথ্য জানায়।

রাডারের তথ্য বিশ্লেষণ করে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলছে, মিলটন ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কি এলাকায় ভূভাগে আছড়ে পড়েছে।

হারিকেনটির ক্ষেত্র এতই বড় ছিল যে, ঝড়ের কেন্দ্র থেকে কয়েক শত মাইল দূরে থাকা দক্ষিণ ফ্লোরিডার এলাকাগুলোতে জারি করা হয়েছিল রেকর্ড সংখ্যক ১৯টি টর্নেডো সতর্কতা। এছাড়া, কমপক্ষে সাতটি টর্নেডো মাটিতে দেখা যায়। ফোর্ট মায়ার্সে সৃষ্ট একটি টর্নেডো একটি বাড়ির ছাদ ছিঁড়ে ফেলেছে।

অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, “অত্যন্ত বিপজ্জনক” এবং “জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ” হ্যারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডার সিয়েস্তা কিতে আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার জানিয়েছে।

গভর্নর রন ডিসান্টিস সতর্ক করার পর প্রচন্ড বাতাস এবং আকস্মিক বন্যার সতর্কতাসহ ক্যাটাগরি থ্রি ঝড় হিসাবে আঘাত হানে হ্যারিকেনটি।

তিনি আরও বলেন, দানবীয় এই হারিকেনের কবল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁচাতে নিরাপদ এলাকায় কয়েক ডজন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

হারিকেন মিলটনের জেরে ফ্লোরিডায় কমপক্ষে ১২ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। পাওয়ারআউটেজ.ইউএস ট্র্যাকার অনুসারে, অঙ্গরাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, এখন পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি গ্রাহক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

 

আবা/এসআর/২৪