দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। হামলার পর অন্তত ২০০ সেনাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে তারা। খবর সিএনএনের।
হামলাকারীরা বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সমর্থক বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে অপহৃত সেনাদের পিঠের পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় দেখা গেছে। তাদের ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র হামলাকারীরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলিভিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সশস্ত্র সমর্থকেরা দেশের ২০০ সৈন্যকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া হামলাকারীরা সামরিক ঘাঁটি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে। তিনটি সামরিক ইউনিটে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বলিভিয়ার সমারিক বাহিনী জানিয়েছে, বলিভিয়ার কোচাবাম্বা শহরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী সামরিক ঘাঁটিটি দখলে নেওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী সৈন্যদের এবং তাদের পরিবারদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
সিএনএন জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বহু সমর্থক কোচাবাম্বা শহরে বাস করে। এই সমর্থকেরা গত ১৯ দিন ধরে সারা বলিভিয়ায় অবরোধ পালন করছে। তাদের দাবি, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মানবপাচারের অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করতে হবে।
ইভো মোরালেস ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু নির্বাচন জালিয়াতির অভিযোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর পদত্যাগ করেন তিনি।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মোরালেসের সমর্থকরা সরকারের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ করে কোচাবাম্বাসহ সারা দেশে প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেছে। বলিভিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী জড়িত রয়েছে। এর ফলে কিছু শহরে খাদ্য এবং জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীটি।