সামরিক আইন জারির জন্য অভিশংসিত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। স্বল্পকালীন সামরিক আইনের ডিক্রির কারণে দেশটিকে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দেওয়ায় কয়েক সপ্তাহ আগে তার রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা সিএনএন ও আল জাজিরা।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা বলেছে যে, সিউলের পশ্চিম জেলা আদালত ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা মঞ্জুর করেছে। তিনি ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন ঘোষণা করার পর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিদ্রোহ সংগঠিত করার অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন।
উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা দ্য করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর দ্য হাই-র্যাঙ্কিং অফিশিয়ালস (সিআইও) নিশ্চিত করেছে, সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে তদন্তকারীদের অনুরোধে প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমান কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো। দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ সিআইওকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং এটি প্রয়োগ করা হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবা/এসআর/২৪