ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এ সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার ভিসা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ভারতে তার অবস্থান সহজ করার জন্যই নেওয়া হয়েছে।
তারা আরও জানান, ভিসা বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। এ প্রক্রিয়া আঞ্চলিক বিদেশি নিবন্ধন অফিস (এফআরআরও)-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্র বলছে, শেখ হাসিনাকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি। কারণ ভারতে কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই।
এর আগে, গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক নোট পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সেটির জবাব এখন পর্যন্ত দেয়নি নয়াদিল্লি।
এদিকে গুম ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার এমন তথ্য জানানো হয়। এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত সোমবার দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এরমধেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো নরেন্দ্র মোদির সরকার।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। দিল্লির একটি সেফ হাউজে তাকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সময় তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি কলরেকর্ড ভাইরাল হলেও আর কখনো জনসম্মুখে দেখা যায়নি তাকে।