ঢাকা ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রেহানা কন্যা টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র সায়ান

রেহানা কন্যা টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র সায়ান

দুর্নীতির নানা খবরে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিটি মিনিস্টার এবং শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। সেই আলোচনার মধ্যেই এবার আলোচনায় এসেছেন শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে সায়ান এফ রহমান।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সায়ান এফ রহমান যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের একটি দাতব্য সংস্থায় আড়াই লাখ পাউন্ড দান করেছিলেন। সেই দাতব্য সংস্থাটির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান তিনি।

সংবাদমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস বলছে, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তাধীন রয়েছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত বছরের আগস্টে সালমান, সায়ান এবং পুত্রবধূ শাহজরেহ রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে।

দ্য মেইল ​​অন সানডে (এমওএস) শনিবার জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের ‘একজন পারিবারিক বন্ধু’ যিনি ব্রিটিশ রাজার প্রতিষ্ঠিত একটি দাতব্য সংস্থার চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হয়েছে। টিউলিপের পরিবারের সাথে সায়ানের কয়েক দশক ধরে সম্পর্ক আছে। টিউলিপের খালা ও আওয়ামী লীগ প্রধান হাসিনা যখনই লন্ডনে যান তখন তিনি কোনও ধরনের ভাড়া না দিয়েই যুক্তরাজ্যের গোল্ডার্স গ্রীনে সায়ানের ১ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ডের বাড়িতে থাকেন। বাড়িটিতে টিউলিপের মা শেখ রেহানা কোনও ধরনের ভাড়া না দিয়েই থাকেন এবং এই বাড়িটির মালিক সায়ান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রিত একটি অফশোর কোম্পানি।

এমওএসের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশি এই ধনকুবের ‘ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট’-এর উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করার লক্ষ্যে ২০০৭ সালে এই দাতব্য সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ রাজপুত্র তৃতীয় চার্লস। সায়ান একবার তার পরিবারের নিয়ন্ত্রিত বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও ছিলেন। আর এটি এখনও ওই দাতব্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হচ্ছে। রাজা চার্লস একবার বাকিংহাম প্যালেসে একটি নৈশভোজে সায়ানের অবদানের প্রশংসাও করেছিলেন।

দ্য মেইল ​​অন সানডে বলেছে, দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও ট্রাস্টে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন সায়ান। তবে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট এক বিবৃতিতে বলেছে: “আমরা সায়ান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে অবগত এবং বাংলাদেশের চলমান ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি।”

এদিকে সায়ানের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে: “সায়ান রহমান একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত, ব্রিটিশ নাগরিক এবং একজন সফল আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী। তার বা তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংযোগ রয়েছে এমন ৩০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির শুধুমাত্র তাদের বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।”

টিউলিপ,সায়ান,দুর্নীতি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত