ঢাকা ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ সরকার ‍নিয়ে ব্রিটিশ এমপিদের বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার

বাংলাদেশ সরকার ‍নিয়ে ব্রিটিশ এমপিদের বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক অভিযোগ এনে ব্রিটিশ অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত নভেম্বরে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করা হয় এবং বিভিন্ন ভ্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। অভিযোগ ওঠার পর হাউজ অব কমন্সে লেবার পার্টির একজন এমপির আপত্তির ভিত্তিতে প্রতিবেদনটির বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।

ব্রিটিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটি আপাতত অভ্যন্তরীণ নথি হিসেবে পর্যালোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। এপিপিজি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, প্রতিবেদনটি আর বিতরণ করা হবে না এবং এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।

একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদনটি অভ্যন্তরীণ নথি হিসেবে পর্যালোচনাধীন রয়েছে। বিস্তারিত আলোচনার জন্য এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বিস্তৃত পরিসরে বিতরণের পরিকল্পনা নেই এবং এপিপিজি এ বিষয়ে আর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শেখ হাসিনা দেশত্যাগের তিন মাস পর নভেম্বরে ওই প্রতিবেদনটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করা হয়। প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত একটি চিঠিতে এপিপিজির সভাপতি অ্যান্ড্রু রোজিনডেল লিখেছেন, কেবল শাসনযন্ত্রের ঘনিষ্ঠরা নয়, বরং সবার অংশগ্রহণের সুযোগ আছে এমন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য কাম্য। তবে বর্তমান সরকার তার গতিপথ শিগগিরই পরিবর্তন না করলে, তাদের আন্তর্জাতিক সমর্থন ধীরে ধীরে উবে যাবে।

ওই প্রতিবেদনে ইউনূস সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘আইনকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার' ও 'কট্টরপন্থি ইসলামপন্থিদের' ক্ষমতায়নের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, সাবেক সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, সাবেক বিচারক, স্কলার, আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগের ব্যাপ্তি এত বেশি দেখা গেছে যে, সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।

চলতি সপ্তাহে ওই প্রতিবেদনের সমালোচনা করে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করা লেবার পার্টির এমপি রূপা হক বলেছিলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে এটি একটি উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার। তার দাবি, ড. ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবেদনটি তাকে দেখিয়ে প্রশ্ন করেন, পার্লামেন্টের নামে এসব ভুলে ভরা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আপনার সরকার আসলে চাচ্ছেটা কি?

প্রতিবেদন,বিতর্কিত,বাংলাদেশ সরকার,ব্রিটিশ,এমপি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত