দ্বিতীয় বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত এগারোটায় (মার্কিন সময় দুপুর ১২টা) তিনি শপথ নেন।
এর আগে একই গাড়িতে করে হোয়াইট হাউস থেকে শপথস্থল ক্যাপিটল ভবনে পৌঁছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন।
শপথ অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ বুশ ও বিল ক্লিনটনও শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
গত কয়েক বছরে ক্যাপিটল হিলের পশ্চিম লনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও, এবার সেটি হয়েছে ক্যাপিটল রোটুন্ডায়। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি ইনডোরে সরিয়ে নেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের প্রথম ধারায় নেওয়া শপথে ট্রাম্প বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে শপথ করছি, বিশ্বস্ততার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের দায়িত্ব সম্পাদন করব এবং আমার সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রক্ষা, সংরক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করব।
একবার নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আবার ভোটে জিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার নজির যুক্তরাষ্ট্রের গত ১৩২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। বিভিন্ন সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস মিললেও, রিপাবলিকান প্রার্থীর অন্তত ৪% হারে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। মোট প্রাপ্ত ভোট সহ “ইলেক্টোরাল কলেজ” ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে মার্কিন মুলুকের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প।
ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই তার ঘোষিত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ মূলনীতি বাস্তবায়ন শুরু করবেন। ট্রাম্পের এই এজেন্ডা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির খুঁটিনাটি তো পরিবর্তন করবেই। পাশাপাশি এর ফলে আমেরিকার সীমানার বাইরে বসবাস করা কোটি মানুষের জীবনও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে।
আবা/এসআর/২৪